ঢাকা: সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৫’র খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের পর সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সবিচ মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন-২০১৫’র খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার আইন-২০১৫’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন, জাতীয় গুণগত মান (পণ্য ও সেবা) নীত-২০১৫’র খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিকে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগদান, গত ৫ থেকে ৬ অক্টোবর শিল্পমন্ত্রীর ডেনমার্ক সফর, গত ৫ থেকে ৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার কারিগরি সহায়তা কর্মসূচিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর বেলারুশ সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
জীববৈচিত্র্য আইন
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানের ১৮’র ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ বাধ্যবাধকতা থেকে আইনটি করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে কার কী দায়িত্ব তা এ আইনে থাকবে।
গত ১০ জুন আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের দিন ওই সময়ের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা জানিয়েছিলেন, আইনটি বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় কমিটি থাকবে। এই কমিটিকে সহযোগিতা করতে একটি কারিগরি কমিটি এবং একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। স্থানীয় পর্যায় ব্যবস্থাপনা কমিটির কাজ করার কথাও বলা রয়েছে এই আইনে। তবে জাতীয় কমিটি কাদের নিয়ে হবে, তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। জাতীয় কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা জীববৈচিত্র্য ব্যবহারের জন্য অনুপ্রবেশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫, আপডেট ০১৪৬
এসএমএ/আইএ