ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ২০১৩ সালে গৃহীত বালি প্যাকেজ বাস্তবায়নের দাবি জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৩০টি নাগরিক সংগঠন।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১০তম মন্ত্রী পর্যায়ের সভা: স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়।
‘ইক্যুইটিবিডি’র নেতৃত্বে কৃষক-শ্রমিক সংগঠনসহ ৩০টি সংগঠন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করে নাগরিক সংগঠনের নেতারা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য কর মুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধার দাবি জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ধনী দেশগুলো অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করে না।
‘বালি প্যাকেজ বাস্তবায়নে চাপ সৃষ্টি করার বিষয়ে, বাণিজ্য বৈষম্য দূরীকরণে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রাখবে। ’
সেমিনারে কোস্ট ট্রাস্টের সদস্য মো. মজিবুল হক মনির বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা সব সময়ই ধনী দেশগুলোর প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করে থাকে। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা দোহা রাউন্ডের আলোচনা এবং ২০১৩ সালে গৃহীত বালি প্যাকেজকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
‘বালি প্যাকেজে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য করমুক্ত অবাধ বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি,’ বলেন তিনি।
ডেভেলপমেন্ট সিনার্জির মনোয়ার মোস্তফা বলেন, শ্রমের অবাধ যাতায়াত কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা তুলতে হবে।
জাতীয় শ্রমিক জোটের চেয়ারম্যান ড. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনই আমাদের গার্মেন্ট শিল্পকে করমুক্ত সুবিধা দেয়নি, বরং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম ভেঙে জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করেছে।
উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কৃষি ভর্তুকি নিয়ে আপত্তি করে অথচ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেলায় কোনো কথা বলে না।
ইক্যুইটিবিডি’র সৈয়দ আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ট্রাস্টের মো. মজিবুল হক মনির।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আসজাদুল কিবরিয়া, হকার্স ফেডারেশনের আবুল হোসেন, এফবিসিসিআই’র উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এফবি/এমএ