ইংরেজ কবি উইলিয়াম ব্লেইক বাঘ নিয়ে লিখেছিলেন এক অমর কবিতা। রাত্রির অরণ্যে জ্বলজ্বল করা ব্যাঘ্ররূপের সে কি অনুপম বর্ণনা! যে একবার পড়েছে সেই কবিতা সেকি ভুলতে পারে:
‘‘টাইগার টাইগার বার্নিং ব্রাইট
ইন দ্য ফরেস্ট অব দ্য নাইট!’’
হ্যাঁ, অরণ্যের মুক্ত পরিবেশে বাঘ শুধু ভয়ঙ্করই নয়, সেই সঙ্গে ‘ভয়াল সুন্দর’ও বটে।
রাশিয়া ও চীনের বরফঢাকা অরণ্যে সাইবেরিয়ান ‘আমুর’ প্রজাতির এই বাঘ আছে। এই প্রজাতির বাঘের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্যটি আছে চীনে। চীনের হারবিন প্রদেশে। অভয়ারণ্যটির নাম হেইলংজিয়ান নর্থওয়েস্ট টাইগার ফরেস্ট পার্ক। এটি সাইবেরিয়ান টাইগারের সবচেয়ে বড় ব্রিডিং সেন্টারও বটে। এই ব্রিডিং সেন্টার এবার একশ ব্যাঘ্র শাবকের জন্ম দিয়েছে। বছরটি তাই অভয়ারণ্যের কর্তাদের জন্য বড় এক সাফল্যের স্মারক। সবগুলো ছানাই বেশ সুস্থ সবল।
এ বছর সেখানে অন্য বছরের তুলনায় আগেভাগেই তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে বলা যায়। ঘন তুষারে এরই মধ্যে সবকিছু একাকার। বরফ যেহেতু সাইবেরিয়ান টাইগারের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু, সেহেতু নতুন জন্ম নেওয়া বাঘছানাদের আনন্দ আর ধরে না।
তারা সবাই মিলে খুনসুটি আর খেলায় মত্ত। সে দৃশ্যই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। বৃহস্পতিবার তোলা হয়েছে দৃশ্যটি। এ নিয়ে পত্রিকার শিরোনাম: ‘Just a whole bunch of Siberian tigers playing in the snow.’
খবরের লিংক: http://metro.co.uk/2015/12/04/just-a-whole-bunch-of-siberian-tigers-playing-in-the-snow-5544836/
প্রতিদিনই বাঘপ্রেমীরা দলে দলে মুক্ত পরিবেশে চলাফেরা করা বাঘ দেখতে যান সেখানে। তারা যাতে বাঘগুলোকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার কিনে দিতে পারেন সেজন্য রাখা হয়েছে সুন্দর ব্যবস্থা। জ্যান্ত মোরগ-মুরগী থেকে শুরু করে, ছাগল , ভেড়া, গিনিপিগ এমনকি আস্ত গরু-মহিষও তারা খাবার হিসেবে দিতে পারেন বাঘকে।
সেজন্য যে ব্যবস্থাটি চালু করা হয়েছে তার ইংরেজি নাম দেওয়া হয়েছে ‘live feeding menu’। দর্শনার্থীরা আস্ত গরু-মহিষ কিনলে ট্রাকে করে অভয়ারণ্য-কর্তৃপক্ষ তা বাঘের একেবারে সামনে নিয়ে ফেলবে। এরপর যা হবে তা বলাই বাহুল্য।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
জেএম