ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

খাঁচায় বন্দি লক্ষ্মী পেঁচা

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
খাঁচায় বন্দি লক্ষ্মী পেঁচা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: বিলুপ্তপ্রায় লক্ষ্মী পেঁচা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সনাতন ধর্মে পেঁচা লক্ষ্মী দেবীর বাহন।



মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) যশোরের দড়াটানা মোড়ে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে খাঁচাবন্দি একটি পেঁচা পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বন্দি পেঁচাটির আতঙ্কিত ও নিরুপায় চাহনি দেখে বড় মায়া লাগছিল। মনে হচ্ছিল, তাকে খাঁচাবন্দি না করে মুক্তি দিলেই ভালো হবে।

স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের আর এন  রোডের সোনালী ব্যাংক শাখার কাছে একটি গাছে লক্ষ্মী পেঁচাটি বসেছিল। এসময় এক লোকের নজরে পড়লে তিনি স্থানীয় মোটর গ্যারেজের এক শিশু শ্রমিককে বলেন, গাছে উঠে পেঁচাটি ধরে আনতে পারলে ১০০ টাকা দিবেন। তার কথা মতো শিশুটি গাছে উঠে হাত দিয়েই পেঁচাটিকে ধরে এনে ১০০ টাকার বিনিময়ে ওই ব্যক্তিকে দেয়। বর্তমানে শহরের রাঙ্গামাটি গ্যারেজ এলাকার সবুজ নামে এক মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক সখের বসে পেঁচাটিকে খাঁচাবন্দি করেছেন।

দড়াটানা মোড় থেকে পেঁচাটি নিয়ে যাওয়ার সময় মো. সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, সখের বসে ১৫০০ টাকা দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন বা চার মাস বয়সী পেঁচাটি কিনেছি।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পেঁচা আটকে রাখা অন্যায় বলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি তো কিনেছি, এর জন্য আমি দায়ী থাকবো কেন? বলেই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশবান্ধব নিশাচর পাখি লক্ষ্মী পেঁচা এখন অস্তিত্ব সংকটে। শিকারী এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Tyto alba, ইংরেজি নাম ‘বার্ন আউল’।

এর সবচেয়ে বড় শারীরিক সক্ষমতা হচ্ছে, নিখুঁত শ্রবণশক্তি। নিশাচর হওয়ায় দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে ভালো দেখতে পায় না, তাই দিনে গাছের কোঠরে বা কোনো ভবনের অন্ধকার স্থানে বসে বসে ঝিমায়। সন্ধ্যা হলে বেরিয়ে পরে খাবার সন্ধানে। এদের মুখ চ্যাপ্টা, চোখ বড় ও ঠোঁট বড়শির মত বাঁকা। এদের পায়ে রয়েছে ধারালো নখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।