ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

শ্রীমঙ্গলের বিষামণিতে অনুমোদনহীন গাছ!

এনভায়রনমেন্ট স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
শ্রীমঙ্গলের বিষামণিতে অনুমোদনহীন গাছ! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): বনবিভাগের অনুমোদনহীন গাছ রয়েছে শ্রীমঙ্গলের বিষামণি মহালে। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ১ হাজার ঘনফুট! তবে অনুমোতিহীন এসব গাছ কেটে মহালে স্তুপ করে রাখলেও এ নিয়ে নেই স্থানীয় বনবিভাগের কোনো প্রকার নজরদারি।



কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এখানের সব কাঠই কাঁঠাল গাছের। অন্য কোনো কাঠ নেই।  

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিন বিষামণির এই মহাল ঘুরে দেখা যায়, শুধু কাঁঠাল কাঠ নয় এখানে রয়েছে আম, মেহগুনি, আকাশমনি, করই প্রভৃতি জাতের কাঠ। জমা করে রাখা গাছগুলো মাঝারি এবং বড় আকারের।

গাছের ছাল ছড়ানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মনু মিয়া জানালেন, এটি নাসির মিয়ার মহাল। আমরা তিন-চারজন এখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করি।

মহালদার আবু নাসের অরফে নাসের মিয়া বলেন, এখানে সব গাছ কাঠালের। আমি মহাজিরাবাদ, ডলুছড়া, বিষামণি প্রভৃতি স্থানে আনারস ও লেবু বাগান থেকে বাগান মালিকদের কাছ থেকে এ গাছগুলো কিনেছি। প্রতিটি গাছের মূল্য ১ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

কিন্তু এখানে তো কাঁঠাল ছাড়াও আকাশমনি, করই, মেগগুনি কাঠ ছিল– প্রশ্ন করলে তিনি নিজ থেকে অন্য কাঠ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, মনে করেন ২০ পার্সেন্ট হবে অন্য কাঠ।

এগুলোর পারমিট আছে কি না– তা জানতে চাইলে নাসের মিয়া বলেন, আছে তবে এখন সঙ্গে নেই। তবে আম, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি গাছ কাটতে গেলে কারো অনুমতি লাগে না।

পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি গাছ কাটা হলে তিন গাছ লাগানোর নিয়ম রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কি হয়েছে কে জানে? বনবিভাগের কঠোর নজরদারি থাকলে হয়তো এ গাছগুলোর জীবন বাঁচতো।

সিলেট বন বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জের উপ-বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (এসিএফ) রাজেশ চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, নিজের বাড়ির ফলদ গাছগুলো অর্থাৎ আম, কাঁঠাল, জাম প্রভৃতি গাছ কাটতে গেলেও অবশ্যই স্থানীয় বনবিভাগকে অবহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
বিবিবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।