ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

হলুদ শিরা রোগে ঢেঁড়সের ফলন হয় অর্ধেক

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৬
হলুদ শিরা রোগে ঢেঁড়সের ফলন হয় অর্ধেক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভাইরাসজনিত রোগ হলুদ শিরা বা মোজাইকের কারণে ঢেঁড়সের ফলন ৫০ থেকে ৯৫ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। ঢেঁড়সের যত ধরনের রোগ হয়, তার মধ্যে হলুদ শিরা বা মোজাইকই প্রধান রোগ।

 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. বেলাল হোসাইন বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এই রোগটি দমন করা খুবই কষ্টসাধ্য। মোজাইক ভাইরাস দমনে কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করেন। কিন্তু সঠিক সময় ও সঠিক মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার না করায় প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না।

 

তাই প্রথমে দরকার রোগটি সঠিকভাবে চেনা। পাশাপাশি এই রোগের বাহক দমনের জন্য সঠিক সময় ও সঠিক মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার সর্ম্পকে জানা।

ঢেঁড়সের মোজাইক রোগটি চেনার উপায়:
এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো পাতার সব শিরা, উপ-শিরা হলুদ হয়ে যায়। রোগের তীব্রতা অনেক বেশি হলে কচি পাতা সম্পূর্ণ হলুদ হয়ে যায় এবং পাতার আকার ছোট হয়ে আসে। ফলে আক্রান্ত গাছের উচ্চতা অনেক কমে যায়, গাছে ফুল আসে না, এলেও তা থেকে যে ফল হয় তা আকারে ছোট এবং শক্ত হয়।

যেভাবে মোজাইক রোগ ছড়ায়:
হলুদ শিরা বা মোজাইক একটি ভাইরাসজনিত রোগ। সাদা রঙের মাছি (হোয়াইট ফ্লাই) এই প্রধান বাহক। এটি অসুস্থ গাছ থেকে ভাইরাস নিয়ে সুস্থ গাছে ছড়িয়ে দেয়। ফলে মাঠ পর্যায়ে অধিকাংশ গাছ এ রোগে আক্রান্ত হয়।

যে সময় মোজাইক রোগের প্রদুর্ভাব বেশি হয়:
ঢেঁড়স খরিফ-১ এবং খরিফ-২ দুই সময়ে চাষ করা হয়। তবে খরিফ-১ এর চেয়ে খরিফ-২ তে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।

এ রোগ যেভাবে প্রতিরোধ করা যায়:
এই রোগ পুরোপুরি দমন করা না গেলেও রোগের তীব্রতা অনেকাংশে কমানো যায়। রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ, আক্রান্ত গাছ শুরুতেই তুলে ফেলা, ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এমন জাত নির্বাচন করা এবং ভাইরাসের বাহক সাদামাছি দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা হলে মোজাইক ভাইরাসের আক্রমণ বহুলাংশে রোধ করা সম্ভব।

সাদা রঙের মাছি থেকে রক্ষা পেতে যেসব কীটনাশক রয়েছে:
সাদা রঙের মাছির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ইমিটাফ ১.০ মিলি/১লিটার পানি বা সবিক্রন ২ মিলি/১ লিটার পানি অথবা মোনোক্রটোফস ১.৫ মিলি/১ লিটার পানি ৩ থেকে ৪ বার ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৬
এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।