ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ফুলেদের হাসি সিলেট সার্কিট হাউজ জুড়ে

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
ফুলেদের হাসি সিলেট সার্কিট হাউজ জুড়ে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রোদের তীব্রতা তখন ঝলঝল করছে পার্শ্ববর্তী সুরমানদীর প্রবাহমান মৃদু ঢেউয়ে ঢেউয়ে। নদীর প্রসারিত বুক থেকে উড়ে যাওয়া জলীয়বাষ্পগুলোও যেন সেই ফুলেদের সৌন্দর্যে ব্যাকুল।

সিলেট থেকে ফিরে: রোদের তীব্রতা তখন ঝলঝল করছে পার্শ্ববর্তী সুরমানদীর প্রবাহমান মৃদু ঢেউয়ে ঢেউয়ে। নদীর প্রসারিত বুক থেকে উড়ে যাওয়া জলীয়বাষ্পগুলোও যেন সেই ফুলেদের সৌন্দর্যে ব্যাকুল।

কখন তারা সম্মিলিতভাবে বৃষ্টিধারা হয়ে ঝরবে নিচে? ছড়াবে ফুলেদের সারা শরীরে অসংখ্য চুম্বন!

ক্বিন ব্রিজ থেকেই ফুলের হাসি দৃষ্টিকাড়ে সবার। একটি নয়, দু’টি নয়, শত শত প্রস্ফুটিত বর্ণিল ফুল। এ যেন একেক ফুলের একেক রকমের হাসি। সেই হাসির শব্দ নেই! তবে এ দৃশ্যপট দারুণভাবে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে রেখেছে।

প্রতি মুহূর্তে নানান প্রজাপতি আর মৌমাছিদের মেলা বসছে এই দৃষ্টিনন্দন বাগানকে ঘিরে। ফুল-প্রজাপতি আর মৌমাছি এরা পারস্পরিক নিবিড় এক সম্পর্কের সঙ্গে অনাদিকাল থেকে সংযুক্ত। কেউ কাউকে ফেলে দূরে থাকতেই পারে না।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এরকম ফুলের বাগান কমই দেখা মেলে। ফুল ফুটনোর প্রাকৃতিক উদ্যোগ বস্তুতপক্ষেই আলোর মুখ দেখে না। নেহায়েত কর্তৃপক্ষের উন্নত রুচিবোধ ব্যতীত। এ ব্যাপারে সরকারি বরাদ্দ থাকলেও তা কার্যকর হয় না।

ছবি তোলার সময় দূর থেকে একজন বয়োবৃদ্ধ লোক তার দৃষ্টির নজরে গেঁথে ফেললেন। ফুলেদের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত, যে প্রান্তেই যাওয়া যায়, তার নজর আর সরে না!

প্রশ্ন করে জানা গেল, তিনিই এই ফুলগুলোর কারিগর। এ বাগানের মালি। নাম রসই আলী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গত আশ্বিন মাসে এ ফুলের গাছগুলো লাগনো হয়েছে। এ ফুলগুলো থাকে মাঘ মাস পর্যন্ত।

কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সারাক্ষণ এ ফুলগুলোকে চোখে চোখে রাখি। কেউ যেন একটি ফুলও ছিড়তে না পারে। তারপরও উচ্চ পর্যায়ের কোনো অফিসারের ছেলে-মেয়েরা দু’একটি ফুল ছিড়ে ফেললে তাদের কিছু বলতে পারি না; তবে ভীষণ কষ্ট পাই।

নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) তানভীর আল নাসীফ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে নানা জাতের ফুল দিয়ে বাগান সৃজন করে থাকি। ফুলের সঙ্গে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

ফুলের নাম প্রসঙ্গ এ কর্মকর্তা বলেন, এখানের ফুলগুলো মাঝে রয়েছে চাইনিজ গাঁদা, হাইব্রিড গাঁদা এবং ইনকা গাঁদা, হাইব্রিড কসমস, এস্টার, সালভিয়া এবং কয়েক রঙের নয়নতারা।

নয়নতারা ফুলের এতো প্রজাতির দেখা পাওয়া গেল সিলেট সার্কিট হাউজে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রকৃতি বিষয়ক গবেষক সৌরভ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচটি পাপড়িওলা ‘নয়নতারা’ সাধারণত সাদা ও লালচে-গোলাপি এ দুই প্রজাতির রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Catharanthus roseus

বাসা-বাড়িতে নয়নতারা লাগানো হয়ে থাকে। নয়নতারার প্রজাতিরগুলো হাইব্রিড অথবা গ্রোস করানো হতে পারে। নয়নতারা ওষুধিগুণসম্পন্ন একটি বৃক্ষ বলে জানান সৌরভ মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬

বিবিবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।