রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) আয়োজিত ‘জাফলং সংরক্ষণ: প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান পরিবেশবিদরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পর্যটন এলাকা জাফলংয়ের বর্তমান অবস্থা প্রাকৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক চিত্র মাল্টিমিডিয়া প্রেজেনটেশনে তুলে ধরেন বেলা’র সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখার বদলে পরিবেশ ধ্বংস করে পাথর উত্তোলনকে উৎসাহিত করছে। ফলে জাফলংয়ে অবৈধ বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন ও পেলোডারের ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
এতে করে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। সেইসঙ্গে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এক মাসে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে শুধু জাফলংয়ে নিহত হয়েছেন সাত শ্রমিক। কিন্তু এসব ঘটনায় পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে পাথর ব্যবসায়ীদের প্রতি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নমনীয়তা ও সমর্থন প্রত্যাহার, প্রতিবেশ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের, শ্রমিক মৃত্যুর জন্য অপমৃত্যুর মামলা দায়ের, অবৈধভাবে স্থাপিত ও পরিচালিত স্টোন ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদ করা, দ্রুত ক্রাশিং জোন ঘোষণা করার জোর দাবি জানান বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- এফআইভিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক যেহীন আহমেদ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, ব্লাস্ট’র কো-অর্ডিনেটর ইরফানুজ্জামান চৌধুরী।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়েছ খছরু, দৈনিক কাজির বাজারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ সুজাত আলী, দৈনিক সবুজ সিলেটের বার্তা সম্পাদক ছামির মাহমুদ, পূর্ব জাফলং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম.এ রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এমজেএফ