এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (নং-৯) জানানো হয়েছে, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’ আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বের, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
‘এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাত নাগাদ স্যান্ডোওয়ের কাছ দিয়ে মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ’
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে; যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। পরে সেটি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
এদিকে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ