ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

নাসিরপুরে শতবর্ষী বটবৃক্ষ

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
নাসিরপুরে শতবর্ষী বটবৃক্ষ নাসিরপুরের বিশাল ডালপালা ছড়িয়ে রেখেছে শতবর্ষী বটবৃক্ষ-ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই গাছটির বিশালতা ধরা পড়ে। তার বিস্তৃতি, দীর্ঘতা আর এভাবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা দেখে হৃদয় জুড়িয়ে যায় পথিকের। দিনের পর দিন সারা এলাকাজুড়ে তার শীতল ছায়া ছড়িয়ে রেখেছে। দান করে চলেছে বিশুদ্ধ বাতাস।

দুই হাত দু'দিকে ছড়িয়ে দিলেও তার ভর (গাছটির শরীর) মাপা যায় না। এতোটাই বড়! কালের বিবর্তনে এসব বড় বড় গাছগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের চারপাশ থেকে।

এসব প্রাচীন বৃক্ষই এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা নীরবে জানান দিয়ে থাকে।  

নানা প্রজাতির পাখিরা ক্ষণিকের বিশ্রামপর্ব সেরে নেয় এর ডালে বসে। হলুদ বর্ণের ‘বটফল’ খেয়ে অনেক পাখির জীবন রক্ষা পায়।

পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথিকেরও ক্লান্তি দূর হয় গাছের নিচের দোকানের চায়ে একটু চুমুক দিয়ে। নাসিরপুরের বিশাল ডালপালা ছড়িয়ে রেখেছে শতবর্ষী বটবৃক্ষ-ছবি: বাংলানিউজবয়োবৃদ্ধ আনকার মিয়া চৌধুরী বলেন, ঢাকা-সিলেটের অঞ্চলিক সড়কে এই বটগাছটি ব্যাপক পরিচিত। ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারগামী কোনো যাত্রী বাসে ওঠে সরকার বাজারের এই গাছটির নিচে নামার কথা বললেই বাসের হেলপার বুঝে যান ও সেখানে নামিয়ে দেন। আমি নিজও কয়েকবার এখানে নেমেছি।

তিনি আরও বলেন, সংগ্রামের অনেক আগে থেকে এই গাছটি দেখে আসছি। গাছটি আরও বড় ছিলো। সড়কটি পাকা করার সময় কিছু ডাল ছাঁটাই করা হয়েছে।

নাসিরপুর এলাকার বাসিন্দা নির্মল কান্তি সূত্রধর বলেন, আমরা আমাদের শৈশব থেকে এই গাছটি দেখে আসছি। আমার বাবার মুখেও বলতে শুনেছি তিনিও নাকি তার ছোটবেলা থেকে গাছটি দেখে এসেছেন। শত বছরের কম হবে না এই বটগাছটি।

শতবর্ষী গাছ এখন তেমন চোখেই পড়ে না। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত যে সব প্রাচীন বৃক্ষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে যেগুলো পরিবেশ রক্ষা, প্রজাতির সংগ্রহ এবং নতুন প্রজন্মের স্বার্থে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা অতি জরুরি বলে মন্তব্য করেন নির্মল কান্তি সূত্রধর।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
বিবিবি/এএটি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।