ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

তাপদাহে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
তাপদাহে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন গরম অতিষ্ঠ কুকুর নেমেছে পানিতে। ছবি: রিপন

দিনাজপুর: গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড তাপদাহে দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি আরো প্রকট করে তুলেছে লাগাতার লোডশেডিং। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। অসহনীয় এই গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে পশুদেরও পুকুর-ডোবায় নেমে থাকতে দেখা যাচ্ছে।  

অসহনীয় গরমে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন গরমজনিত রোগের রোগী। প্রখর রোদে মাঠে পাকা ধান কাটতে গলদঘর্ম হচ্ছে কৃষক-শ্রমিক।

তবে ডাব ও আখের রসসহ সরবতের দোকানগুলোতে উপচে পড়ছে ভিড়।

লাগাতার লোডশেডিংয়ের কারণে অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকছে কলকারখানার চাকা। তাই ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়। বিদ্যূতের অভাবে কূপির আলোয় পড়া।  ছবি: রিপন

দিনাজপুর পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আনিকা রহমান স্নেহা বাংলানিউজকে বলে, এতো গরম সহ্য করা কঠিন। বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিক মতো স্কুলের ও বাড়ির পড়াশুনা করতে পারছি না। দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৬ ঘণ্টাই বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। এই গরমে ফ্যান ঘুরলেও তো কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতো।

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (২০ মে) দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৩/৪ দিনে তাপপ্রবাহ আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এ সময়টায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম।

দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর মো. রুবেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গরম বাড়ার পাশাপাশি মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে। বিদ্যুৎ বেশী ব্যবহার হওয়ার কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে। শনিবার (২০ মে) দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর আওতাভুক্ত এলাকাগুলোর জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে সাড়ে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে ১৮ মেগাওয়াট। লোডশেড না দিলে বা নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রার বাইরে বিদ্যুৎ খরচ করলে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন করে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেড দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে পানিতে নেমেছে কুকুর।  ছবি: রিপন

দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন,  প্রচণ্ড গরমের কারণে সাধারণ মানুষ শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালমুখী হচ্ছে। এ কারণে হাসপাতালের আউট ডোর ও ইনডোরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

এই গরমে সুস্থ থাকতে বেশী করে পানি, স্যালাইন পানি, ডাবের পানি বা তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. পারভেজ।  

বাংলাদেশ সময়:১৭০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।