ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

রাত যতো গভীর হচ্ছে, আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় ততো বাড়ছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
রাত যতো গভীর হচ্ছে, আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় ততো বাড়ছে আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: রাত যতো গভীর হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা থেকে বাঁচতে চট্টগ্রামের ৭ উপজেলার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় ততোই বাড়ছে। চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, মিরসরাই ও চন্দনাইশ উপজেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ এলাকাবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

সোমবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম থেকে সর্বশেষ এ তথ্য জানা গেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা'র প্রভাবে ঘর ছেড়ে লোকজন জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত সাইক্লোন সেন্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন।

রাত যতো গভীর হচ্ছে, উপকূলীয় এলাকার লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসছেন। ইতোমধ্যে জেলার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় এক লাখ লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় ব্যস্ত রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ১৪ উপজেলার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে বাঁশখালীর ১০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০ থেকে ৫০ হাজার, সন্দ্বীপের ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ থেকে ২৫ হাজার, আনোয়ারার ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ থেকে ১৫ হাজার, সীতাকুণ্ডের ৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ থেকে ৭ হাজার, কর্ণফুলীর ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ থেকে সাড়ে ৬ হাজার এবং মহানগরের ঝুঁকিপূর্ণ ৫০০ পরিবার নিরাপদে ও পতেঙ্গার আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০০ জন, মিরসরাইয়ের ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০০ এবং চন্দনাইশের ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭০ জন এলাকাবাসী আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন আলী বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা থেকে বাঁচতে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রট দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে আসা প্রায় ৩০০ মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খিচুড়ি ও ত্রাণের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন তিনি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শনে যান। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এসবি/টিসি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।