কক্সবাজার শহরে যানবাহন চলাচল একেবারে নেই বললেই চলে। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে যে শহর, সেখানে এখন প্রায় সুনসান পরিস্থিতি।
গুমোট আবহাওয়া কক্সবাজারববাসীর শংকা বাড়াচ্ছে। মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ভয়াল সেই রাতের কথা। সেদিন কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। কক্সবাজার পৌরসভার বাদসা ঘোনা এলাকার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলি সমুদ্র সৈকতে যাবার পথে কথা হয় অটোরিকশা চালক শুক্কুরের সঙ্গে। তিনি বলেন শংকার কথা। 'গাছের পাতার নড়াচড়া নেই। সাগরে পানি নাকি ফুলছে। অবস্থা একেবারে সুবিধার মনে হচ্ছে না। ' বলেন শুক্কুর।
চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় একটি ভাতের হোটেলের সামনে জটলা পাকিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। পঞ্চাশোর্ধ একজন বললেন, ’৯১ সালেও আঘাত হানার আগে পরিস্থিতি এরকম ছিল। সেইবারও ১০ নম্বর সিগন্যাল ছিল। এবার কি হয় আল্লাহ জানেন। শংকা নিয়ে কক্সবাজার জেলার ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। আরও এক লাখ মানুষ বিভিন্ন নিরাপদ এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের বাসায় অবস্থান নিয়েছে, এমনটাই জানালেন কক্সবাজারেরর জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
নগরীর কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, ফদনার ডেইল, উত্তর নুনিয়াছড়া এবং পেসকারপাড়া ও টেকপাড়ার নিম্নাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ইফতারির পর থেকেই অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছেন। এর মধ্যেও বেশ কয়েকটি পরিবার থেকে গেছে। রাতে বাড়িতে লুটপাটের আশংকায় তারা ঘর ছাড়তে রাজি নন বলে জানান অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
আরডিজি/ টিটি/জেডএম