‘পর্যটনকে আকর্ষণ করার রূপকার’ সম্বলিত ব্যানার লাগিয়ে নিজেই নিজের রূপে কালিমা লেপন করছেন, এমন সমালোচনায় মুখর পর্যটকরা।
উদ্যানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বলতে শোনা যায়- সংসদ সদস্যের প্রচারণা চালাতে গিয়ে নেতাকর্মীরা বরং তার বদনাম হাসিল করছেন।
এছাড়া বনের ভেতরে যত্রতত্র গাছে গাছে এমপি আব্দুস শহীদের পোস্টার সাঁটানোর কারণে বনের সৌন্দর্য হানি ঘটছে বলে অভিযোগ করেন পর্যটকদের অনেকে।
এক পর্যটক তো বলেই ফেলেন, দেখুন না-উদ্যানের প্রধান ফটকের অবস্থা। এমপি শহীদের ছবি ইউএস এইডের সাইনবোর্ডের ব্যানারের হনুমানের ছবির পাশে সাঁটানো। ছবিটি লাগিয়ে সংসদ সদস্যের ইজ্জতের বারোটা বাজিয়েছে তার শুভাকাঙ্খি সংগঠন।
বনে আগন্তকরা বলেন, নেতাকে অনুসরণ করে কর্মীরাও বনের ভেতর পোস্টার লাগাতে উদ্বুদ্ধ হবেন। এই সংস্কৃতি পরিহার করা উচিত। এতে অন্তত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। বনবিভাগ ও সহযোগী সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে এসব পোস্টার সাঁটাতে নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন পর্যটকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে প্রবেশদ্বারে সেগুন গাছে সাঁটানো ‘শোকাবহ ১৫ আগস্টের পোস্টার। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট পোস্টারটি সাঁটানো হলেও আরেক আগস্ট চলে আসছে, তবু খুলে নেওয়া হয়নি। এর নীচেই লোহা দিয়ে সাঁটানো ‘পর্যটনকে আকর্ষণ করার’ শিরোনামের আরেকটি পোস্টার। এ দুই পোস্টারের পেছনে বাঁশ দিয়ে সাঁটানো আরেকটি পোস্টার প্রধান ফটকের সৌন্দর্যহানি ঘটিয়েছে। একই ভাবে বনের ভেতর যত্রতত্র গাছে ও লাউয়াছড়া বাগমারা পিকনিক স্পটে গাছে সাঁটানো রয়েছে সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের এসব পোস্টার। এসব পোস্টার উদ্যানে আসা পর্যটকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের প্রভাব লাউয়াছড়া বনেও। তার ভাই বন সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। তাই গাছে গাছে পোস্টার লাগালেও কারো সরানোর সাধ্য নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) সভাপতি হিসেবে রয়েছেন সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল। যে কারণে এই পোস্টার সরাচ্ছে না বন বিভাগ কিংবা সিএমসি কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এনইউ/জেডএম