রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে সোমবার (২৪ জুলাই) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী কার্বন গ্যাস কমানোর জন্য বাংলাদেশ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার বাস্তবায়ন অগ্রগতি ইতিবাচক।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জয়বায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজনের জন্য তহবিল চাওয়া হচ্ছে। তবে কার্বন কমাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে তহবিল চাওয়া হচ্ছে না। এ কাজের জন্য তহবিল আনতে হবে।
এদিকে কার্বন কমানোর জন্য বাড়িতে সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহকরণ, যানজট নিরসন, মেট্রোরেল, রেল ও নৌপথের ওপর যোগাযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
‘জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে স্বপ্রণোদিত অঙ্গীকার ও প্রতিপালন: দক্ষিণ এশীয় অভিজ্ঞতাভিত্তিক পদ্ধতিগত পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটি টিআইবি’র কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়। এতে এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. একেএম এনামুল হক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। যার ভিত্তিতে বেশকিছু সুপারিশ দেয় টিআইবি।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলোর গৃহিত পদক্ষেপগুলোকে অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে আরও নিরীক্ষা করা এবং তার ভিত্তিতে অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপের তালিকার পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া জ্বালানি দক্ষ উৎপাদন ও ভোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য প্রণোদনা নীতিমালা গ্রহণ করা দরকার। এছাড়া দেশগুলোর উন্নয়ন সহযোগীদের উচিৎ সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের, কর, ভর্তুকি ও অন্য নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালা পরীক্ষা করে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে অবদান রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি'র অন্য গবেষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ইইউডি/আরআর