উপরন্তু অকাল বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন লাখ লাখ কৃষক। শেষ ভরসা ছিল আউশ ধানে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এ বছর মৌসুমী বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৫ মিলি মিটার। ১৯৫৬ সালের পর ৫ হাজার মিলি মিটারের ওপরে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাতে বন্যা ও জলোচ্ছাস হয়েছিলো।
এছাড়াও ১৯৫৬ সালের পর থেকে সর্বাধিক ১৯৭০ সাল বন্যার বছর, ১৯৭৪ সাল দুর্ভিক্ষের বছর ও ১৯৮৯ সালে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয় হলেও ১৯৮৮ সালের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।
তবে এ বছর যে পরিমান বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে ১৯৮৮ সালের রেকর্ড ভাঙবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কিংবা অক্টোবরের শুরুতে শুস্ক মৌসুম শুরু হতে পারে। তবে এরআগে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেটে বজ্র বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ৬১ বছরের রেকর্ড ভাঙবে এই বৃষ্টিপাত। কেননা এখনো প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে এই অঞ্চলে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, ভাদ্র মাসের শেষে শীতের শুরু হলেও এখন চলছে আশ্বিন। এখনো সিলেটের আকাশে মেঘের ঘনঘটা। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় হওয়ার কারণে এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থা বিরাজ করায় দেশের কয়েকটি স্থানের ন্যায় সিলেটেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার অধিদফতর পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও রংপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এনইউ/বিএস