উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মোহাজেরাবাদ এলাকায় ‘এআরজেপি এল ফ্রুটস গার্ডেন’ এর সত্ত্বাধিকারী আবদুল আজিজ টিলা কেটে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করে ফল বাগানে স্থাপনা নির্মাণ করলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। প্রশাসন সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাহাড় কাটা আলোকচিত্র সংগ্রহ করে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোবাশশেরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মহাজিরাবাদে মঙ্গলবারে তোলা দুটি ঘটনার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। প্রথমটি হলো, টিলা কাটার অপরাধে ফারুক নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনায় ‘এআরজেপি এল ফ্রুটস গার্ডেন’ এর কর্তৃপক্ষ টিলার প্রাকৃতিক নষ্ট করেছেন। ব্যাপারটি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা ভূমি কর্তৃপক্ষকে আমি নির্দেশ দিয়েছি।
বাংলানিউজের পক্ষ থেকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশেকুল হকের মোবাইল ফোনে টিলা কেটে পরিবেশ বিনষ্টকারী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হলে আশেকুল হক বলেন, ‘আমি স্পটে আছি। পরে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাবো। ’
বিকেল সাড়ে ৪টায় পুনরায় তাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘উনি নিজের জায়গায় আনারস লাগিয়েছেন। আমি কি করে ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো বলেন?’
অথচ ব্যক্তিগত বা সরকারি যে কোনো টিলা কাটতে গেলে অবশ্যই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগে বলে জানান ইউএনও। আব্দুল আজিজ এ ধরনের কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনননি বলেও জানান তিনি।
সিলেট অঞ্চলের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি’র সভাপতি মো. সালাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে পাহাড় কেটে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনকে বারবার অবহিত করার পরও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় না।
মহাজিরাবাদ এলাকায় টিলা কাটার এ ঘটনাটি বিছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের একটি সাধারণ নমুনা মাত্র বলে জানান পরিবেশবিদ মো. সালাহ উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
বিবিবি/এএ