দেশে পরিবেশগত সুশাসন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার মতো খাতগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় বিনিয়োগ খুবই কম। এ কারণে বিশাল উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনার (সিআইপি)’ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
দেশে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অধিকতর অর্থায়নের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনাটি তৈরি করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। কারিগরি সহায়তা দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অর্থনতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশগত ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়ায় বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্বের পাঁচটি বড় দেশ চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল ও ভারত ৫৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ করে। অথচ এসবের ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা’।
‘জলবায়ু ঝুঁকি এখন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। আমরা এখন দেখি, উড়োজাহাজে ভ্রমণে জার্কিং বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পরে উড়োজাহাজের সিটে বসে থাকতে পারবো না’।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘সরকার এমন সব নীতি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে সকলের জন্য প্রকৃত প্রস্তাবেই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। আমরা আশা করি যে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতে সঠিক ও অগ্রাধিকারযোগ্য প্রকল্প নির্বাচনে এই কৌশলগত বিনিয়োগ পরিকল্পনা সহায়ক হবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের নীতিগত উদ্দেশ্য সফলভাবে অর্জনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে’।
‘পরিবেশ বিপর্যয় শুধু আমাদের একার সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। তাই এককভাবে মোকাবেলা সম্ভব নয়, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজালস্কি, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি ডেভিড ডুলান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর