রোববার (১৫ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে 'এ ক্লাইমেট রেসিলেন্ট সাউথ এশিয়া: টার্নিং ক্লাইমেট স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটি ইনটু রিয়েলিটি' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক কারণেই পরিবেশ দুষণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশ্বের কোথাও যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে না তেমনি বাংলাদেশেও।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। অথচ আমরা প্রয়োজনের সময় পানি পাই মাত্র ৩ শতাংশ। আর বাকি ৯৭ শতাংশ পানি ভারত ও চীন। ফলে খরায় দুই দেশ পানি ধরে রাখে। আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দেয়।
ভৌগলিক এ কারণসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় একদিকে দেশের বাঁধগুলো সংস্কার করছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সৌরশক্তি, সোলার হোম সিস্টেম, উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষি গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগ বাড়াত কাজ করছে।
এক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) উপরও জোর দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে এসসিসিআইয়ের সভাপতি রুয়ান এডিরিসংহ বলেন, বন্যাসহ জলবায়ুর সমস্যায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলার একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা সবচেয়ে ভালো হচ্ছে। তার কারণ অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের জিডিপির গ্রোথ বেশি।
সভাপতির বক্তব্যে শফিউল ইসলাম বলেন, টেক্সটাইল খাত বিশ্বের প্রায় সব দেশকে
ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের অ্যাকশন প্ল্যান দরকার।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই, এসসিসিআই ও সার্কভুক্তদেশগুলোর ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ