ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয়, আইন জরুরি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয়, আইন জরুরি  বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে কথা বলছেন অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

রাজশাহী: উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়তে থাকায় দিন দিন বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে এ দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় একেবারে উপরের দিকে উঠে এসেছে ঢাকা। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাই জরুরি হয়ে পড়েছে আলাদা আইনের। 

আইনের খসড়া তৈরি করতে রাজশাহীতে পরামর্শমূলক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশনে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

সহায়তা করে পরিবেশ অধিদফতর।  

কর্মশালায় জানানো হয়, পরিবেশ অধিদফতরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্পের অধীনে নির্মল বায়ু আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতায় খসড়া প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। এর অংশ হিসেবে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

এতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে দিনভর কথা বলেন বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা।  

কর্মশালায় জানানো হয়, বায়ুদূষণের কারণে শ্বাস নেওয়ার সময় এই বিষাক্ত বাতাস ফুসফুসে ঢুকে পড়ছে। বিষ ছড়ানো দূষিত বাতাসের কারণে অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জার্মানির ম্যাক্স-প্লানক ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা অনুযায়ী, শুধু বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর অন্তত ১৫ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ। রাজধানীর বায়ুদূষণ নিয়ে সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে ২৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থীর ফুসফুসের সক্ষমতা দ্রুত কমছে। তাই সরকারি উদ্যোগে নির্মল বায়ু আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে।  

কর্মশালায় মতমতের ভিত্তিতে আইন প্রণয়নে সম্পৃক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পরিবেশ অধিদফতরে হাতে রাখার সুপারিশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।  

এছাড়া আইন যুগোপযোগী করতে এতে দূষণের সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়।

কর্মশালা সঞ্চালনা করেন- স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশ’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আনম ওয়াহিদ এবং রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. আবদুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম খান ও বুয়েট’র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইয়াসির আরাফাত খান।  

উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোহী অধ্যাপক ড. রেদওয়ানুর রহমান, ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. জেসমীন সুলতানা ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান।  

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-বেলা'র সমন্বয়কারী এএনএম মামুন ও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার স্যান্যাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।