রংপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে খরার প্রকোপে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষক। কষ্টে আছেন হাঁস-মুরগির খামারিরাও।
খরার চলমান দুর্গতির মধ্যে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং দুর্বিষহ করে তুলেছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন।
রংপুর সদর উপজেলা ছাড়াও মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ উপজেলায় কৃষকের দুর্গতির খবর পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার দর্শনা ও সদ্যপুস্করিণি ইউনিয়নে দেখা যায় বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। কেউ কেউ জমিতে সেচ দিয়ে ধান লাগিয়েছেন কিন্তু বৃষ্টির দেখা মিলছে না। ধানক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে ধান গাছের কাণ্ড-পাতা।
সদ্যপুস্করিণি ইউনিয়নের ভুরঘাট এলাকায় দেখা গেছে অনেকেই শ্যালো মেশিন দিয়ে ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের মিজানুর রহমান বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে ধানের চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখন রোদে পুড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ধানের ক্ষেত। সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে ক্ষেত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
সদর উপজেলার কেশবপুরের এন্তাজ আলী বলেন, বৃষ্টির দেখা না মেলায় সপ্তাহ খানেক আগে লাগানো ধানক্ষেত পুড়তে বসেছে। প্রায় সব কৃষকের এমন অবস্থা।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় বিলের মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। এমন খরা আগে হয়নি।
খরার কারণে ফসলের ক্ষেতের পাশাপাশি বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। আর এতে দুর্ভোগ হয়েছে দ্বিগুণ।
দিনে অন্তত ১০-১২ বার বিদ্যুত চলে যায়। আর প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি করে লোডশেডিং হয়। ফলে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছে আকাশপানে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ