জেলার মহাদেবপুর-মাতাজিহাট সড়কের দু’পাশে লাগানো অর্জুন গাছগুলো রাস্তার সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়েছে, তেমনি প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা আসেন এ গাছের ছাল-বাকল আর পাতা সংগ্রহ করতে। এছাড়া রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ সড়ক, পত্নীতলা উপজেলার মধুইল-শিবপুর সড়কসহ জেলার প্রায় প্রতিটি সড়কের দু’পাশেই দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির ওষুধি গাছের।
গাছের ছাল সংগ্রহ করতে আসা মহাদেবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের মিলন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অর্জুন গাছের ছালের রস খাই। একদিন আগে গাছের ছাল কেটে নিয়ে ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে পানি খেতে হয়। আবার ছাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছালের ভেতর থেকে রস বের করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। এতে করে পেটের ব্যথা, গ্যাস্টিকের ব্যথা ভালো হয়। খেতে তেতো হলেও নিয়মিত অর্জুনের ছালের রস খেতে পারলে শরীরের বিভিন্ন রোগ ভালো হয়।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. টি এম সফিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওষুধি গাছের ছাল, পাতা এবং ফল মানবদেহের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ভূমিকা রাখে। রোগ বিশেষে নিয়ম মেনে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যেমন: অর্জুন গাছের ডাল শুকিয়ে পাউডার করে পানি দিয়ে মিশিয়ে খেলে আমাশয় রোগের উপকার হয়। নিয়ম মেনে খেতে পারলে গাছই হতে পারে সবচেয়ে ভালো ওষুধ। পাশাপাশি ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে এসব গাছ।
নওগাঁ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রকৌশলী সমশের আলী বাংলানিউজকে বলেন, জেলার সড়কগুলোর দুই পাশে অর্জুন, নিম, ত্রিফলাসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ ওষুধি গাছ রোপন করেছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এসব গাছ থেকে মানুষ ও প্রকৃতি উপকৃত হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে আরো ওষুধি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এসআই