এই পাখিটি আকারে পাতিকাকের মতো। প্রায় ৩৩ সেন্টিমিটার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণ গবেষক ড. কমরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এই পাখি দুটো প্রজাতি আমাদের দেশে পাওয়া যায়। একটি হলো Grater Coucal (বড় কুবো) এবং অপরটি Lesser Coucal (বাংলা কুবো)। Grater Coucal পাখিটির চেয়ে Lesser Coucal বিরল। সহজে দেখা পাওয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, Lesser Coucal পাখিটিকে শুধুমাত্র সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চল এবং মধুপুরে পাওয়া যায়। তবে তেঁতুলিয়াতে পাখিটিকে পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। আমাদের মিশ্র চিরহরিৎ বন এবং পত্রঝরা বন বা ঘাস বন রয়েছে সেখানে এদের পাওয়া যায়। এরা আমাদের দেশের আবাসিক পাখি।
খাদ্য তালিকা সম্পর্কে এ গবেষক বলেন, এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বড় আকারের পোকা। ঘাসফড়িং, মাকড়শা, ছোট ছোট সরীসৃপ প্রাণীও খায়। এরা একটু লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। প্রয়োজনে এরা মাটিতে নেমে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
প্রজনন ঋতুতে এদের ডানা লালচে ও কাঁধ-ঢাকনি ছাড়া পুরো দেহ চকচকে কালো হয়ে থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির লালচে শরীরে বাদামি ডোরা থাকে বলেও জানান ড. কমরুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
বিবিবি/এএটি