শীত মৌসুমের এই আকস্মিক বৃষ্টি মৌলভীবাজার জেলার চা-শিল্পাঞ্চলের ৯২টি বাগানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এসময় প্রতিটি বাগানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চা গাছে প্রুনিং বা চা-গাছ ছাঁটাইয়ের কাজ।
অভিজ্ঞ টি-প্ল্যান্টার ও বারোমাসিয়া চা বাগানের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হক ইবাদুল বাংলানিউজকে বলেন, এই বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য উপকারি। এখন তো মাটি শুষ্ক থাকে। পরিপক্ব চারা বা বাচ্চা চারা দুটোর জন্যই উপরকারি এই বৃষ্টি। এর ফলে মাটিতে আর্দ্রতাযুক্ত হবে যা পরবর্তী বছরে চায়ের ফলন বাড়াবে।
তিনি আরো বলেন, এখন তো মাটিতে আর্দ্রতা নেই, এ বৃষ্টিপাতের ফলে মাটিতে পানি যুক্ত হলো। ফলে জানুয়ারি পর্যন্ত চা গাছগুলো ভালো সাপোর্ট পাবে। খরামুক্ত থাকবে। পরবর্তী বছর পাতাটা তাড়াতাড়ি আসবে। সাধারণত বৃষ্টি থেমে যায় নভেম্বরে। কিন্তু এই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের বৃষ্টিতে বাতাসে আর্দ্রতাযুক্ত হলো। এ কারণে মাটিতে যে পানি আছে তাতে আর্দ্রতা নষ্ট হবে না।
বাতাসে তখন আর্দ্রতা কমে যায় তখন মাটির পানি বাতাসে চলে যায়। নিম্নচাপ হওয়ার ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে। ফলে চা বাগানে মাটির পানির ক্ষতিটা অনেক কম হবে। চা বাগানের মাটি তার পানিটা ধরে রাখতে পারবে প্রায় এক মাস পর্যন্ত। জানান অভিজ্ঞ সিনিয়র টি-প্ল্যান্টার হক ইবাদুল।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ হারুন অর রশিদ বাংলানিউজে বলেন, শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার এলাকায় সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ও মঙ্গলবার দুপুর (১৮ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সারাদেশে বাতাসের তাপমাত্রা প্রায় ১৬-১৭ সেলসিয়াস। আগামী দু’এক দিনের মাঝে বৃষ্টি কেটে গিয়ে তীব্র শীত নামবে বলে জানান আবহাওয়াবিদ হারুন অর রশিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
বিবিবি/এএ