আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দেশের ওপর দিয়ে মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের দিকে শৈতপ্রবাহ আরো বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়ার এই গতিপ্রকৃতির কারণে দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ রংপুর ও খুলনা বিভাগের ওপর মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
ইতোমধ্যে দেশের অনেক অঞ্চলের তাপামাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে এসেছে। বৃহ্স্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে। সেখানে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলাসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে শৈত্যপ্রবাহের এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগের তাপমাত্রা এখনো ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর রয়েছে। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে। সেখানে ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাতের তাপমাত্রা আরো কমবে। বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে। আকাশ মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এই অবস্থা আগামী পাঁচদিন অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
ইইউডি/এএ