ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঢাকায় ৪র্থ আরসিজি সম্মেলন, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
ঢাকায় ৪র্থ আরসিজি সম্মেলন, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকায় তিন দিনব্যাপী চতুর্থ আরসিজি (রিজিওনাল কনসালটেটিভ গ্রুপ) সম্মেলন শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি)।

২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড হলরুমে এ চতুর্থ আরসিজি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে ২৬টি দেশ ও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ১২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে উদ্বোধনী ও কারিগরী মিলিয়ে ১৮টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এ সব সেশনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক সহায়তা উন্নয়নে ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সফলতা উপস্থাপন করাসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণে আবারও ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির কারণে দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলন চলাকালীন প্রতিদিন বিকেল পাঁচটায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্রেস ব্রিফিং হবে।

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী সংস্থার (ইউএনওসিএইচএ) উদ্যোগে সিভিল মিলিটারি সমন্বয়ের মাধ্যমে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম জোরদার করণের লক্ষ্যে ২০১৪ সালের মানবিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আরসিজি গঠন করা হয়।

আরসিজির প্রথম সম্মেলন ২০১৫ সালের থাইল্যান্ডের ব্যাংককে, দ্বিতীয় সম্মেলন ২০১৬ সালে ফিলিপাইনে এবং তৃতীয় সম্মেলন ২০১৭ সালের সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়।

আরসিজি-২০১৮ সালের ভিশন ও কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে জরুরি সমন্বয় জোরদারকরণ। বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যক্রমসহ মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয় সাধন। বলপূর্বক মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিভিল মিলিটারি সমন্বয় জোরদারকরণ। ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় দক্ষতা বাড়াতে সিমুলেশন আয়োজন।

বাংলাদেশের সব পদক্ষেপ এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিষদ প্রশংসিত হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।