তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে এবং মেনে চলতে হবে। তিনি তার মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বনভূমি বাড়ানোর যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা নির্ধারণ করেছি, যে কোনো মূল্যে তা অর্জন করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে যে নার্সারিগুলো রয়েছে সেগুলোর জন্য স্থায়ীভাবে স্থান বরাদ্দের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হবে।
দারিদ্র্য বিমোচনের স্বার্থেই সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে সড়কপথ ও রেলপথের পাশে পরিত্যক্ত জায়গাগুলো সামাজিক বনায়নের আওতায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বন বিভাগের দখলকৃত জমির হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করে তা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে। নতুন করে কোনো জায়গা যাতে বেদখল না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশনা দেন।
সুন্দরবনের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ার আগেই সুন্দরবনের কিছু কিছু সুন্দরি গাছের পাতা বিবর্ণ হওয়ার কারণ ক্ষতিয়ে দেখতে তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। উপমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সুন্দরবন এলাকায় যে সব অনিয়ম সেগুলো রোধ করার ব্যবস্থা করা হবে।
মত বিনিময়ের সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা বিগত দশ বছরের বর্তমান সরকারের অর্জিত সাফল্য এবং কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। পরে মন্ত্রী চলমান কার্যক্রমের সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেন এবং নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস