ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

৩ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
৩ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে শ্রীমঙ্গলের একটি চা বাগান। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: একাধারে ৩ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলছে পর্যটন নগরী এবং চা শিল্পাঞ্চাল সমৃদ্ধ শ্রীমঙ্গলে। তবে নেই শীতের কনকনে তীব্রতা। শীত পড়ছে বটে। তবে তা গায়ে কাঁপন ধরার মতো নয়। সহনীয় মাত্রার শীত দখল করে রয়েছে এ জনপদকে।

শ্রীমঙ্গলে তীব্র শীত জেঁকে বসার দৃশ্যটি আজ অতীত। দু’চার বছর আগেও শীতের তীব্রতায় জুবুথুবু হয়ে থাকার মতো অবস্থা আর নেই।

ঢাকা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলো শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) ২০১৯ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিল শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন ২৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বেলুন মেকার মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১২ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। তবে গত বছর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  বিভিন্ন বছরের শীত মৌসুমে শ্রীমঙ্গলেই ধরা পড়েছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রেকর্ডের পরিসংখ্যানগুলো দেখলে বুঝা যায় অতীতে কেমন তীব্রতা ছিল শীতের। সেই শীত তীব্রতার দৃশ্যপটগুলো আজ চোখে পড়ছে না।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্র ছিল ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়াও ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।