ঘাসের বুকে ঠাঁই পেয়েছে শিশিরকণা। এটা তাদের প্রায় বিদায়ী উপস্থিতি।
এই শেষ বিদায়ী দিনগুলোতে শিশিরকণারা ঘাসেদের ভালোবাসায় মুখর। তবে এই অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যগুলো আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। হঠাৎ প্রাকৃতিক সতেজতার এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য পেলে আমরা অবাক না হয়ে পারি না।
শীতের পুরোটা সময়জুড়ে এই খেলা চলে। প্রকৃতির পরতে পরতে এই চলে লোকচক্ষুর আড়ালে। শিশিরেরা চড়ে বসে ঘাসের বুকে। ঘাসেদের ভালো না লাগলেও শিশিরের এই যন্ত্রণাগুলো দিনের পর দিন মুখবুজে সহ্য করে নেয়। কিছু করার নেই যে।
এদিকে শীত তার শিশিরকণা নিয়ে ঘাসেদের প্রতিদিন সতেজ করে তুলে। প্রকৃতির মায়ামমতায় এই খেলা সম্পাদনের যথার্থ সময় সন্ধে থেকে পরের দিনের ভোর অবধি। কুয়াশায় মোড়ানো চারদিকে জমাটবন্ধতায় ভর করে ঘাসের বুকে গিয়ে লেপ্টে পড়ে।
তারপর বিন্দু বিন্দু দানায় ভর করে শিশিরকণা। ঘাসের ডগায় নান্দনিকভাবে ঝুলে থাকে। সেই বিন্দুগুলোর ভেতর ক্ষুদ্রাকার হয়ে ধরা পড়ে প্রতিফলিত দৃশ্য। এ যেন ক্ষুদ্রতার কাঁচের আয়না। প্রকৃতির মাঝে এটি কেবল শীতেই দেখা মেলে।
রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির এই বিন্দু বিন্দু জলকণাকে তার কাব্যে গেঁথেছিলেন এভাবে- ‘সোনালি-সোনালি চিল, শিশির শিকার ক’রে নিয়ে গেছে তারে/ কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
বিবিবি/এএটি