হেমন্ত ঋতুতে ফোটে ‘নীলপারুল’। তাও মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য।
তিনি আরো বলেন, পাতা ও বাকলের ঘ্রাণ রসুনের মতোই। স্বাদে ও গুনাবলীতে রসুনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার্য এই ‘নীলপারুল’। এর ইংরেজি নাম Garlic Vine এবং বৈজ্ঞানিক নাম Cydista aequinoctialis। এটি Bignoniaceae পরিবারের উদ্ভিদ। ফুলের রঙে এক মন আকুল করা নীলমিশ্রিত শুভ্রতার মায়াময় সংবেদনশীল সংযোগ এর মাধুর্যে এনেছে ভিন্ন মাত্রা।
বৃক্ষ এবং ফুলের শারীরিক গঠন সম্পর্কে মোল্লা রেজাউল করিম বলেন, এ গাছটির লতানো এবং চিরসবুজ। শক্ত, দীর্ঘ ও ঝোপাল। ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার লম্বা। শীর্ষ পাতাটিই মূলত আকাশিতে রূপান্তরিত হয়। ফুলের অগ্রভাগ ঈষৎ বেগুনি, নলাকার অংশটি ক্রিম সাদা। দল ফ্যানেলের মতো, মুখ ৪ সেন্টিমিটার চওড়া, তাতে ৫টি মুক্ত পাপড়ি আছে, সেগুলো গোলাকার ও ছড়ানো।
ঢাকায় রমনাপার্ক, বলধা গার্ডেন, বাংলাদেশে শিশু একাডেমি, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অনেকের ব্যক্তিগত সংগ্রহেও দেখা যায় ‘নীলপারুল’ ফুলটিকে। কেউ কেউ শখ করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরে লাগিয়ে রেখেছেন বলেও জানান জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
বিবিবি/এএটি