রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ‘এসডিজি ১৩: জলবায়ু কার্যক্রম’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এ পরামর্শ দেন। ‘গণমানুষের কণ্ঠস্বর: বাংলাদেশে ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জোরদারকরণ’ শীর্ষক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।
প্রধান অতিথি শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তার মন্ত্রণালয় সরাসরি কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সব অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কার্যকরভাবে মোকাবেলায় বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগগুলো স্থানীয় সরকারকে সরাসরি সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য সুপরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ, অভ্যন্তরীণ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত ও স্থানীয় পর্যায়ে তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি এসব কাজের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা, যথাযথ সমন্বয় এবং নিরবচ্ছিন্ন তদারকি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে আবদুল করিম জলবায়ু বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে সাফল্যের সঙ্গে এসডিজি অর্জনে সক্ষম হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে পিকেএসএফ। পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় পিকেএসএফ’র বিভিন্ন উদ্যোগের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
সেমিনারে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১৩: জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় উন্নত বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে নিজেদেরকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর সাবেক পরিচালক (গবেষণা) ড. আসাদুজ্জামান এবং মুক্ত আলোচনা পর্বে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। সেমিনারে আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পিকেএসএফ’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস