ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সুগন্ধীযুক্ত ‘জাম্বুরা ফুল’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
সুগন্ধীযুক্ত ‘জাম্বুরা ফুল’ শুভ্রতার প্রতীক জাম্বুরা ফুল। ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন

মৌলভীবাজার: ঋতুরাজ বসন্ত এসে পড়েছে প্রকৃতিতে। এরই রেশ ধরে ফুলেদের মেলা বসতে শুরু করেছে। গাছে গাছে, ডালে ডালে। প্রতিটি পাতায় পাতায় যেন সেই স্নিগ্ধতারই আমেজ।

এক্ষেত্রে নিজেকে আড়াল করে রাখতে পারেনি অম্ল স্বাদযুক্ত জাম্বুরাও। তার শরীরে মেলে ধরেছে স্বেতশুভ্র ফুলের বাহার।

এর ফুলগুলো অনেকটা মৃদু গন্ধযুক্ত কামিনীর মতো। কামিনীও ফুলের দিক থেকে জাম্বুরা ফুলের মতো অনুরূপ।

চার পাপড়ির এ ফুলটি দারুণভাবে সুগন্ধীযুক্ত। গাছের নিচে দাঁড়িয়ে জাম্বুরা ফুলের সৌরভে এক মুহূর্তে ভরে উঠে মন-প্রাণ। চাঙ্গা হয়ে উঠে এর পারপাশের প্রকৃতি। পার্শ্ববর্তী সড়ক ধরে এগিয়ে যাওয়া সময় এ ফুলের সুগন্ধী নাকে আসা মাত্রই ফুলটিকে একপলক দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে যায় হৃদয়। জাম্বুরার ইংরেজি নাম Pomelo ও বৈজ্ঞানিক নাম Citrus maximaশুভ্রতার প্রতীক জাম্বুরা ফুল।  ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনএ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এটি নবীব বসন্তের আহ্বানকারী ফুল। এর সুগন্ধী অপূর্ব। সারাক্ষণ গাছের তলে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। আমি মাঝে মধ্যে অফিস থেকে এসে জাম্বুরা গাছের তলায় দাঁড়িয়ে এর সৌরভ উপভোগ করি, দারুণ লাগে। আর কিছুদিন পরে এই গাছটি ফলে রূপান্তিত হবে। জাম্বুরা অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। মানবদেহকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে এই ফলটির জুড়ি মেলা ভার বলেও জানান ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

তিনি ফুলটি সম্পর্কে বলেন, ফুলের পুংকেশর, গর্ভদন্ড, গর্ভমুন্ড, গর্ভাশয় প্রভৃতি অংশ থাকে। জাম্বুরা ফুলের মাথায় টিউবের মাথায় অনেকগুলো হলুদ হলুদ পুংকেশর অথবা পুষ্পরেণু থাকে। গোলাকার চাকতির মতো অংশটির নাম গর্ভমুন্ড। ওখান থেকে পুংরেণুগুলো গর্ভমুন্ডে পতিত হয়। চাকতির নিচের অংশটা হচ্ছে গর্ভদন্ড। আর নিচে ফল যেখানে হবে অর্থাৎ ডিম যেখানে থাকে ওটা হলো গর্ভাশয়।

মৌমাছি, প্রজাপতি বা পাখিরা এক ফুল থেকে আরেক ফুলের পুংকেশর অথবা পুষ্পরেণুতে সারাক্ষণ মুখগুজে মধু আহরণের মাধ্যমে ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে চলেছে বলেও জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।