সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে করমজল প্রজনন কেন্দ্রে একটি বাটাগুর বাসকা ৩২টি ডিম দেয়। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফোটানো হবে।
** সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে বিপাকে ‘বাটাগুর বাসকা’
এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো করমজলে ডিম পাড়লো বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা। এর আগে ২০১৭ সালে দু’টি বাটাগুর ৬৩টি ডিম দেয়, যা থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। পড়ে ২০১৮ সালে দু’টি কচ্ছপ ৪৬টি ডিম দেয়, তাতে ২৪টি বাচ্চা ফোটে।
সুন্দরবন করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, সকালে একটি কচ্ছপ ৩২টি ডিম দিয়েছে। এর মধ্যে একটি ডিম কিছুটা ফাটা। একসঙ্গে ডিম পাড়ার কারণে একটি ফেটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা সবগুলো ডিমই প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করবো। আশা করি, ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে সবগুলো ডিম থেকে বাচ্চা বের হবে।
উল্লেখ, ২০০০ সালে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেছিলেন, পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোনো অস্তিত্ত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কিনা তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে আটটি বাটাগুর বাসকা পান তারা। যার মধ্যে চারটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন-পালন ও প্রজননের চেষ্টা করেন বাটাগুর বাসকাগুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েক বছরে গাজীপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দেয় স্ত্রী কচ্ছপগুলো। সেখানে ভালো সাড়া না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল আটটি বাটাগুর বাসকা ও তাদের থেকে জন্ম নেওয়া ৯৪টি ছানা করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। চারটি কচ্ছপের ডিমে বাচ্চা ফোটার পরে বর্তমানে এখানে ১৮৩টি কচ্ছপ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এসআই