সে এসেই কীটপতঙ্গ খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে গেল। মাটিতে দু-তিনটি ঠোকর দিয়েই আবার অন্যদিক চলে গেল।
এ হলুদময় পাখিটির নাম ‘হলদে-মাথা খঞ্জনা’। কেউ কেউ এ পাখিটিকে ‘সিট্রিন খঞ্জন’ হিসেবেও উল্লেখ করেন। সে হঠাৎ এসে পরিবেশটাকে আরও অপূর্ব করে তুললো। উড়তে জানলেও জলাভূমির আশপাশে কাটায় বেশিরভাগ সময়। ভূমিপ্রিয় পাখি নামেও তার পরিচিতি রয়েছে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘সিট্রিন খঞ্জন’ পাখির ইংরেজি নাম Citrine Wagtail এবং বৈজ্ঞানিক নাম Motacilla citreola। এরা পানির ধারে হেঁটে খাবার খুঁজে বেড়ায় এবং মিষ্টি গান করে।
পাখিটির স্বভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা গ্রীষ্ম মৌসুমে তুন্দ্রার স্যাঁতস্যাঁতে তৃণভূমিতে এবং হিমবাহ ও পর্বতের জলাশয়ে এবং শীত মৌসুমে হাওর, বিলসহ অন্যান্য জলাশয়ে এক বা জোড়ায় বিচরণ করে। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পোকা, কীটপতঙ্গ, লার্ভা ও ছোট শামুক জাতীয় প্রাণী।
‘হলদে-মাথা খঞ্জনা’ এর প্রজনন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মে-আগস্ট মাসে প্রজনন মৌসুমে এরা তিব্বতে ঘাসের গোছা কিংবা ঝোপের পাদদেশ অথবা পাথরের আড়ালে আঁটসাঁট বাটির মতো বাসা তৈরি করে। ঘাস, শিকড়, শেওলা, পশম প্রভৃতি বাসা তৈরিতে ব্যবহার করে।
পাখিটির দৈর্ঘ্য ১৯ সেন্টিমিটার এবং ওজন ১৮ গ্রাম। স্ত্রী পাখিটির মাথা, পিঠ ও কোমর ধূসর এবং ডানা ও লেজ কালো। আর প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির মাথা ও দেহতল উজ্জ্বল হলুদ এবং ঘাড়-পিঠ ঘন কালো হয়ে উঠে বলে জানান পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ, ২০১৯
বিবিবি/আরআর