আবহাওয়া অফিসের একজন আবহাওয়াবিদ বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের গতি রেকর্ড করা হয়েছে। আর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৮ মিনিটে এর গতি ছিল ৮৩ কিলোমিটার।
প্রতিঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৬০ কিলোমিটারের উপরে থাকলে সেটি কালবৈশাখী ঝড় হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত ৩১ মার্চ দেশের অধিকাংশ স্থানে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার। এছাড়া ৬ এপ্রিল ঢাকায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে কালবৈশাখী।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই আবহাওয়াবিদ বলেন, রাজশাহী দিয়ে শুরু হয়ে ঝড় চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিক্রম করে বগুড়ায় এসে আরো শক্তি সঞ্চয় করে। পরে তা টাঙ্গাইল, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, হবিগঞ্জে অবস্থান করছিল। ঝড়টি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলে যাওয়ার দিকে রয়েছে।
ঝড়ের সঙ্গে ঢাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়েছে বলে জানান ওই আবহাওয়াবিদ। তবে ঝড়ে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অফিস বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছিল, বিকেল পৌনে ৩টা থেকে পরবর্তী ৮-১০ ঘণ্টায় রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ