বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সেলিম রেজা বলেন, আজ রাত থেকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।
তিনি বলেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়টি ৯১ সালের ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। এ জন্য ইতোমধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, এই ঝড় বাংলাদেশ ও উড়িষ্যায় আঘাত হানবে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যাওয়ার আগে আমাদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মিটিং হচ্ছে। এটির আঘাতে ঢাকায় ব্যাপকভাবে ক্ষতি না হলেও এর পাশে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালীসহ এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, ফণী মোকাবিলায় প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে এবং নিজেদের ভলান্টিয়াররা মাঠে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
সেলিম রেজা আরও বলেন, ডিজিটাল যুগে কেউ যেনো ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে না পড়ে, সেদিকে আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
সভায় তথ্য অধিদফতরের প্রধান কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, দুর্যোগের সময় মিডিয়ার এক ঘণ্টা পর পর বুলেটিন দিলে ভালো হয়। এছাড়া সরকারি টিভি কিছুক্ষণ পর পর স্ক্রল দিতে পারে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক নূরুল আমিন বলেন, আমাদের ভলান্টিয়ার ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া আমাদের গ্রাম পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা চলছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর করিম বলেন, যেসব স্থানে আঘাত হানতে পারে ফণী, সে স্থানগুলোতে আমাদের বাহিনী কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ