বিবৃতিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘ফণী’ এর যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাসিক কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, সেনাবাহিনী ও বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রস্ততি গ্রহণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজশাহীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে।
জনসাধারণকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছে মেয়র বলেন, ‘সচেতনতা ও পূর্বপ্রস্তুতিই পারে যেকোন দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমাতে। আমরা সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমি সরকারি কর্মকর্তা ও জনসাধারণসহ সকলকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যেকোনো দুর্যোগ সবাইকে একসাথে মোকাবেলা করতে হবে।
অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ‘উইন্ডি ডটকম’র তথ্য অনুযায়ী, আগামী শনিবার ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিকেল ৫টা নাগাদ রাজশাহীর ওপর আঘাত হানতে পারে। রাজশাহী হয়ে রাত ৮টা নাগাদ ‘ফণীর বগুড়ায় থাকার শঙ্কা রয়েছে। রাত ১১টায় রংপুর ও রাত ৩টায় নীলফামারী হয়ে ‘ফণী’ বাংলাদেশ অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসএস/এমএমএস