শুক্রবার (৩ মে) রাতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে বরিশালে সমন্বিতভাবে কাজ করছে সেটা আসলেই উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুস, সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পলিশ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞাসহ বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সভায় জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
তিনি জানান, উপজেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অর্থ বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় মজুদ ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
জেলায় ৩৩১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ১৫৫টি স্বেচ্ছাসেবক টিম ও ৪০৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিমে মোট সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ১ শত জন। মেডিকেল টিমের পাশাপাশি ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ২০ জন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ১০টি উপজেলায় কাজ করছে ৮৭টি ইউনিয়নে ৮৭ জন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া আছে।
অপরদিকে ৮শ জন কর্মী নিয়ে ৩৩টি এনজিও প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া জেলায় ৯টি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে ১৩০ জন এবং আনসার- ভিডিপি, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ অন্য বাহিনীর ২ হাজার ১৬০ জন সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ প্রতিটি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য প্রাপ্তির জন্য কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে পরবর্তীতে কী করণীয় তা তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমএস/এএ