ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘ফণী’ দুর্বল হয়ে ‘সাধারণ ঘূর্ণিঝড়’ আকারে বাংলাদেশে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
‘ফণী’ দুর্বল হয়ে ‘সাধারণ ঘূর্ণিঝড়’ আকারে বাংলাদেশে চাঁদপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে সবশেষ বার্তায় জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (৪ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সবশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে সকাল ৬টা থেকে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। তবে সাগর খুবই উত্তাল।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর (পুন:) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর (পুন:) বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।  

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ (পুন:) সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নম্বর দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে মধ্যরাতে পুরীতে সবশেষ তাণ্ডব চালিয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে খড়গপুর হয়ে স্থলপথে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে ফণী। কমতে থাকে দাপট। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, নদীয়া, কলকাতাসহ কোথাও কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বয়ে গেছে। বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বাংলাদেশ পর্যন্ত আসতে আসতে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে ফণী।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।