শনিবার (৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থা ও প্রস্তুতি নিয়ে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল এলাকায় ঘরের নিচে চাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে নোয়াখালীর চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা। এতে বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবলে পড়ে আনোয়ারা খাতুন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ফণীর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা, দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ও অমাবশ্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এক সময় মধ্যরাতে বাংলাদেশে আঘাত হানার কথা বলা হলেও ভারতের পুরী থেকে কিছুটা দিক পরিবর্তন করে স্থলপথে খড়গপুর দিয়ে ঢুকে যায় ‘ফণী’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএটি