শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১০টা পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়ায় সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন, চর দরবেশ ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি।
বেলা ১১টার দিকে চরচান্দিয়া ধান গবেষণা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আবু সুফিয়ান, বেলাল হোসেন, মো. মোস্তফা, লাইলী আক্তার, বেবি আক্তার, রিয়াজউল হক, জান্নাতুর লাহের, আনিছুল হক, আলাউদ্দিন, নুরের নবী, আবুল কাশেম, রেজাউল হক ও আছিয়া খাতুনের ঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বসতঘর ভেঙে গেছে, বাতাসে উড়ে গেছে আসবাবপত্র। বেলা ১২টায় জলদাস পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, মোদন মোহন দাস, হর মোহন দাস, যুধিষ্ঠির জলদাসের ঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকার আলম নামের আরও একজনের দোকান ঘরও উড়িয়ে নিয়ে গেছে তীব্র ঝড়ো হাওয়া।
ফেনীতে ফণী পরবর্তী দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা এনডিসি রাশেদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ৭টি বসতঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৬৭টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আংশিক। প্রায় ১৫শ’ একর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে ঝড়ে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল পারভেজ বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করছি। সে আলোকে পরবর্তীতে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দিয়েছি। বাকিদেরও সহযোগিতার চেষ্টা চলছে।
এদিকে ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম (কারিগরি) আবদুল জলিল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় ছয়টি উপজেলায় ১৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, ৫০-৬০টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। প্রায় ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ১৫শ’ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দেওয়া হয়েছে শুকনো খাবার। মাঠে রয়েছে ৭৮টি মেডিকেল ও উদ্ধার টিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি/এইচএ/