শনিবার (৪ মে) দুপুরে বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বগুড়াসহ এ অঞ্চল অতিক্রম করে। দুর্বল হয়ে পড়ায় ‘ফণী’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩২ কিলোমিটার।
এদিকে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় বগুড়ায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা থেকে শনিবার (৪ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৫ দশমিক ৩ মিলিমিটার হয়েছে।
এছাড়া ‘ফণী’র প্রভাবে শনিবার (০৪ মে) সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইছে যোগ করেন আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক নুরুল।
কিন্তু ‘ফণী’ তার নিজস্ব গতিবেগ নিয়ে বগুড়া অতিক্রম করলেও প্রকৃতিতে এর প্রভাব এখনো কমেনি। ‘ফণী’ আঘাত হানার প্রায় ২১ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ‘ফণী’ অতিক্রম করার পর সেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
যেনো আকাশ ‘ফুটো’ হয়ে পানি পড়ছে –এমন মন্তব্য করেন বাদশা নামে এক রিকশা চালক।
বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টার পর থেকে বগুড়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থামার তো কোনো লক্ষণই দেখি না। শনিবার (৪ মে) উল্টো আরও বেশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে’।
‘এতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হচ্ছে না। শহর এলাকায় তেমন লোকজন নেই। ফলে আমার মতো অনেক রিকশা চালককে ঠিকই বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী কম থাকায় ভাড়া হচ্ছে না। গত শুক্রবার অনেক কষ্টে অতিবাহিত করতে হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে কপালে কি আছে তা আল্লাহই জানেন’ যোগ করেন রিকশা চালক বাদশা।
বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের অনেক এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মানুষের চলাচল কম থাকায় শহরে যানজটও নেই।
এদিকে শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত বড়গোলায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। যেসব দোকান খোলা রাখা হয়েছে তাতে তেমন বেচাবিক্রি নেই বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।
জেলার উঠতি নানা ধরনের ফসলের ওপর ‘ফণী’র কেমন প্রভাব পড়েছে তা নির্দিষ্ট করতে বলতে পারেননি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বাবলু সূত্রধর। তিনি বাংলানিউজকে জানান, এ মুহুর্তে কৃষি বিভাগের সব লোকজন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমবিএইচ/আরআইএস/