পরে কিছুক্ষণ থামার পর আবার হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। যা চলতে থাকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
অনেকে মনে করছেন, বৃষ্টি বাগড়া বসাতে পারে এবারের ঈদ উৎসবে। জল, স্থল, অন্তরীক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা থেকে শুরু করে ঈদের ভ্রমণ, নিমন্ত্রণ, বিনোদন, আড্ডা, বেড়ানো সর্বত্রই ভোগান্তির কারণ হতে পারে বৃষ্টি।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে কিছু মেঘমালা ভেসে আসায় ও কালবৈশাখীর প্রভাবে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঈদের দিন (বুধবার) সকালে খুলনায় বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিকেলে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে খুলনার প্রধান ঈদের জামাতের মাঠ সার্কিট হাউজ ময়দানে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। মাঠে বালু দেওয়ায় মাঠে পানি জমতে পারেনি। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সার্কিট হাউজের প্রধান জামাত মাঠে হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে খুলনা সার্কিট হাউজ ঈদগাহ ময়দান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
কেসিসির মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে ঈদ জামাতের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং বিভিন্ন মসজিদগুলোও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এসময় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশসময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৯
এমআরএম/এএটি