শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ও সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে ‘লন্ডন প্রটোকল’র ওপর কর্মশালা শুরু হয়। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, পরিবেশের একটি বড় অংশ এবং পানির প্রধান উৎস হচ্ছে সমুদ্র। এই প্রধান উৎসকে আমরা নষ্ট করে দিচ্ছি নানা ধরনের দূষণের মাধ্যমে। মানবসমাজের আচরণ দেখে মনে হয় বর্জ্য অপসারণের সবচেয়ে উপযোগী স্থান হচ্ছে সমুদ্র। যা মোটেই উচিত হচ্ছে না। বছরে ২৫০ মিলিয়ন টন বর্জ্য পড়ে সমুদ্রে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য। তারপর রয়েছে তেলজাতীয় পদার্থ ও জাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত অন্যান্য বর্জ্য। আমাদের এই আচরণ থেকে সরে আসতে হবে; যদি আমরা সমুদ্রকে বাঁচাতে চাই। বিশ্বব্যাপী আজ এই সচেতনতা তৈরির সময় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।
এসময় উপমন্ত্রী বলেন, শুধু সমুদ্র নয়, নদীমাতৃক এই দেশকে, দেশের পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। যারা নদী দূষণ করছে, আমরা চেষ্টা করছি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। পাশাপাশি জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
টিএ/