ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বিশ্ব প্রকৃতপক্ষেই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে হুমকিতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
বিশ্ব প্রকৃতপক্ষেই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে হুমকিতে ‘গ্লোবাল প্রোগ্রামিং কনফারেন্স’-এ অন্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবিলায় প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অংশীদারদের জড়িত থাকা প্রয়োজন। কেননা বিশ্ব আজ প্রকৃতপক্ষেই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়নের স্যাংডোতে গ্লোবাল ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) ‘গ্লোবাল প্রোগ্রামিং কনফারেন্স’-এ মন্ত্রী একথা বলেন।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে।

সাগরের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে খরস্রোত। ফলে গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ জমি নদী-সাগরে হারিয়ে গেছে। জলবায়ুর চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। আইসল্যান্ডের বরফ উষ্ণতার কারণে গলে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূল ও মালদ্বীপ ঝুঁকিতে রয়েছে।

‘প্রতিনিয়ত জলবায়ুতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। উন্নত দেশগুলো বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করছে, বিশেষ করে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত। অন্য দেশগুলো অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করায় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীতে বছরে দুই হাজার হেক্টর জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ’

জলবায়ু পরিবর্তন থেকে উদ্ভূত বহুবিধ প্রভাবকে টেকসইভাবে সমাধানের জন্য অংশীদার দেশগুলিকে সমর্থন করার উপায় এবং পথ বের করাই এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য। সম্মেলনের এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘জলবায়ুর উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উপলব্ধি করা। ’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। অর্থমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের এ পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপ ও কার্যক্রম সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। তিনি কার্যকর ফলাফল অর্জনের জন্য প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অংশীদারদের জড়িত থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
 
অর্থনৈতি সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। ১০টি দেশের মন্ত্রী, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, থিঙ্ক ট্যাঙ্কস, সিএসও, এনজিওরা পাঁচ দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। উচ্চ পর্যায়ের ফোরামে, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা কীভাবে তারা তাদের দেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং মোকাবিলায় কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছেন সে বিষয়গুলো তুলে ধরছেন। স্বীকৃত সংস্থাগুলির প্রধানরা তুলে ধরছেন তারা কীভাবে দেশগুলিকে জিসিএফ সমর্থন দিয়ে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।