মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাপটি কলার আড়ত থেকে উদ্ধার করে আনেন শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক সঞ্চিত দেব।
মঙ্গলবার বিকেলে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে গিয়ে দেখা যায়, সাপটি স্থির হয়ে বসে রয়েছে একটি প্লাস্টিকের বড় কন্টেইনারে।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বাংলানিউজকে বলেন, সাপটি নতুন ধরনের হওয়ায় আমরা এর ছবি তুলে তিনজন বন্যপ্রাণী গবেষকের কাছে পাঠাই। তারা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান এবং বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ। ড. মনিরুল খান এবং ড. কামরুল হাসান দু’জনই একটি বিশেষ কর্মশালায় ভারতে অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত কেউই সাপটিকে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারেননি।
সজল দেব সাপটির পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, সাপটি ছোট আকারের। আমার ধারণা এটি কিং কোবরা বা গোখরার ছানা হবে। এর গলার নিচের দিকে হালকা হলুদ রঙের আভা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন বিষয়টা হচ্ছে- এই সাপের পিঠের উপরে তিনকোণা বা শিরদাঁড়ের একটা দাগ রয়েছে। এটা কেউটে (Monocellate Cobra বা Bengal Cobra) বা শঙ্খিনী (Banded Krait) সাপের থাকে। কিন্তু এটা কোবরা বা ক্রেইটও নয়। কারণ এর বডির শেপও আলাদা। মাথা বা বডির শেপও কোবরা এবং ক্রেইটের সঙ্গে মেলে না।
আদনান আজাদ আসিফ আরও বলেন, যেহেতু আমি সাপটি চিনতে পারিনি, তাই এ সাপের ছবি আমি ড. মনিরুল খান স্যারকে পাঠাই। তিনি এখন ভারত অবস্থান করছেন। তিনি আমাকে বলেন, ওই প্রশিক্ষণে উপস্থিত বন্যপ্রাণী গবেষকদের এই ছবিটি দেখলে তারাও সাপটিকে শনাক্ত করতে পারেননি। তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেই সাপটিকে দেখতে আসবেন শ্রীমঙ্গলে।
আমার ধারণা, এই সাপটি ঢোঁড়া বা পাইন্না প্রজাতির সাপের একটি বিশেষ প্রজাতি হতে পারে। অথবা, এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রজাতির একটি সাপের রেকর্ড হতে পারে বলে জানান বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
বিবিবি/এএ