শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বন্যপ্রাণীগুলোকে উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পক্ষ থেকে এদিন রাতে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উদ্ধারকৃত পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ময়না পাখি ২টি, টিয়া পাখি ৪টি, শালিক পাখি ৩৫টি, ঘুঘু পাখি ১২টি এবং ১টি বিপন্ন প্রায় ঈগল পাখি। বন্যপ্রাণী উদ্ধার কাজে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির আকন সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব নুরুল করিমের সার্বিক সহযোগিতায় উদ্ধারকৃত অজগর সাপ এবং পাখিগুলোকে কোটবাড়ি এলাকার রাজেশপুর শালবনে অবমুক্ত করা হয়।
আব্দুল্লাহ আস সাদিক এ বিষয়ে বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরেই আমরা কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে বন্যপ্রাণী শিকার ও কেনাবেচার খবর পাই। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আজ অভিযান পরিচালনা করে অজগর সাপ ও পাখিগুলোকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বন্যপ্রাণী শিকার, হত্যা, ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তাই দেশবাসীর কাছে নিবেদন বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ থেকে বিরত থাকুন। সেসঙ্গে এধরনের অপরাধের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা করুণ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
আরকেআর/জেআইএম