বুধবার (২৩) অক্টোবর সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা হওয়ার পর দুপুরের দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে বয়ে যায় দমকা বাতাস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গোসাগরের অদূরে তামিলনাড়ু-দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ রূপে অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, লঘুচাপের কারণে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাস থাকবে। এসময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে।
তবে লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, লঘুচাপটি এখনও অনেক দূরে রয়েছে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
এই বৃষ্টিপাত শীতের আগমনী বার্তা নয় জানিয়ে আবাহওয়াবিদ মল্লিক বলেন, নভেম্বরের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা কমবে, সেটা শীতের আগমনী বার্তা হবে।
সকাল ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় খেপুপাড়ায় ২০ মিলিমিটার ছাড়াও ঢাকা, শ্রীমঙ্গল ও পটুয়াখালীতে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খেপুপাড়ায় ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তেতুঁলিয়ায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা ও ময়মনসিংহে ৩২ দশমিক ৬, চট্টগ্রামে ৩৪, সিলেট ও রাজশাহীতে ৩২ দশমিক ৫, রংপুরে ৩১, খুলনায় ৩২ দশমিক ২ এবং বরিশালে ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, সমুদ্রবন্দর ও নদী বন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কবার্তা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ