শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলামকে জেলার ফোকাল পার্সন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তানজিল্লুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান, রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা অধ্যাপক বুলবুল কবির, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ-সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদারসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সভায় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, জেলায় ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগে কোথাও বড় ধরনের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে খবর নেওয়ার জন্য জেলায় ১০টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় আমাদের মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জনসাধারণকে সচেতন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা স্ব-স্ব উপজেলায় সভা করবেন। এছাড়া সমুদ্রে থাকা সকল নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নৌযান নির্দেশ অমান্য করে যাতে চলতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছি। ওয়ার্ড পর্যায়ে ইউপি সদস্যরা জনসাধারণকে সচেতন করছেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এনটি