শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবন মিলনায়তনে এ কনভেনশন শুরু হবে। দুই অধিবেশনে বিভক্ত হয়ে কনভেনশন চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। সকাল ১০টায় প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় নেতারা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জাতীয় কমিটির প্রতিনিধি এবং নেতাকর্মীরা।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জাতীয় কনভেনশন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচাইতে ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় একদিকে যেমন বিশ্বে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাবহার হ্রাসে বাংলাদেশের জোর ভূমিকা পালন করা দরকার, তেমনি দেশের ভেতর উন্নয়ন পরিকল্পনাও এমনভাবে সাজানো দরকার যাতে আমরা নিজেদের বিপদ কমিয়ে, নিরাপদ উন্নত ভবিষৎ গড়তে পারি। কিন্তু সরকার উন্নয়নের নামে দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় যেভাবে একের পর এক প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী প্রকল্প গ্রহণ করছে, তাতে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ বাড়বে না, দেশের ভেতর প্রাণ প্রকৃতি এবং মানুষ এক ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে পড়বে।
‘গত ১০ বছরে এসবের বিরুদ্ধে বহুরকম তথ্য প্রমাণ হাজির করা সত্ত্বেও শুধু সুন্দরবন বিনাশী রামপাল নয়, পুরো উপকূলজুড়ে করা হচ্ছে একের পর এক কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ’
সুন্দরবন ও উপকূল-বিনাশী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, রপ্তানি-মুখি ‘পিএসসি ২০১৯’ বাতিল এবং টেকসই-পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে জাতীয় কমিটির বিকল্প মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাঁচ দফা দাবিতে প্রাণ-প্রকৃতি এবং মানুষ রক্ষায় জাতীয় কনভেনশন সফল করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান নেতারা। অধিবেশন শেষে থাকছে প্রতিবাদী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
আরকেআর/এএটি